সি এস খতিয়ান অনুসন্ধান ২০২৫
অনলাইনে জমির সি এস খতিয়ান অনুসন্ধান করে খতিয়ানের অনলাইন কপি বা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি এখানে দেখানো হয়েছে।
সি এস খতিয়ান হলো বাংলাদেশে ব্যবহৃত খতিয়ানের অতি পুরাতন একটি ধরন। ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম এ ধরনের খতিয়ানের জরিপ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ১৯২০ সালের আগেই তৎকালীন সরকারি আমিনগন জরিপ চালিয়ে এ ধরনের খতিয়ান তৈরি করেছিল।
বর্তমানে সি এস খতিয়ান যাচাই করে অনলাইনে খতিয়ানের আওতাভুক্ত ভূমি খন্ডের মালিক/ দখলদারের বিবরণ, জমির অবস্থান ও পরিমাণ এবং দাগ নম্বর জানতে পারবেন। তাই সি এস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি দেখে নিন।
সি এস খতিয়ান অনুসন্ধান
সি এস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে,

(বিঃদ্রঃ খতিয়ান না পেলে উপরে খতিয়ান নাম লিখে খুঁজুন। অথবা অধিকতার অনুসন্ধান লেখাতে ক্লিক করে জমির মালিকের নাম কিংবা দাগ নম্বর লিখে খুঁজুন।)
সাধারণত বাংলাদেশের সকল উপজেলার জন্যই সি এস খতিয়ানের রেকর্ড অনলাইনে পাওয়া যায়। কারণ এই খতিয়ানটি ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়েছিল বলে, এর রেকর্ড সব এলাকার জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছিল।
যাইহোক, উপরোক্তভাবে খতিয়ান চেক করার মাধ্যমে আপনারা একটি CS Record বা খতিয়ানের যাবতীয় তথ্যগুলো বিস্তারিত দেখতে পারবেন। অতীতকালের সেই খতিয়ানের তথ্যগুলো পূর্বকালীন জমির পরিমাণ নির্ধারণ ও সীমানা নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ
সি এস খতিয়ান যাচাই
সি এস খতিয়ান যাচাই করার জন্য, সর্বপ্রথম ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন DLRMS ওয়েবসাইটে যাবেন। সেখানে সার্ভে খতিয়ানের বিভাগ>জেলা> উপজেলা বাছাই করে খতিয়ানের ধরন ‘সি এস’ সিলেক্ট করতে হবে। তারপর মৌজা সিলেক্ট করলেই সেই মৌজার অন্তর্ভুক্ত সিএস খতিয়ানের তালিকা দেখতে পাবেন।

সেই তালিকা থেকে আপনার খতিয়ানটিতে দুইবার ক্লিক করলেই বিস্তারিত তথ্য পেতে চলে আসবে। সেখানে সি এস রেকর্ড এর অনলাইন ভার্সন, অর্থাৎ জমির মালিকদের নাম, দাগ নম্বর সমূহ ও জমির পরিমাণ দেখানো হবে।
আপনি যদি এখান থেকে সি এস পর্চার অনলাইন কপি বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে চান তাহলে ‘ঝুড়িতে রাখুন’ অপশন টিতে ক্লিক করতে হবে। পরে ড্যাশবোর্ড ঝুড়ি অপশনে ক্লিক করে, খতিয়ানের ধরন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টিক দিয়ে চেক আউট করবেন।

সি এস পর্চা ডাউনলোড
সি এস পর্চা বা খতিয়ান ডাউনলোড করার জন্য, প্রথমে অনলাইনে খতিয়ানটি অনুসন্ধান করে dlrms land gov bd ওয়েবসাইটের কার্ট যোগ করতে হবে। তারপর কার্ট অপশনের তথ্যগুলো সিলেক্ট করে চেকআউট করতে হবে। সেখানে একটি নাগরিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে আপনাকে নিম্নোক্ত তথ্যগুলো দিতে হবে:

এ সকল তথ্য দিয়ে বিকাশ/ নগদ/ রকেট কিংবা উপায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি জমা দিবেন। খতিয়ানের অনলাইন কপি বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে চাইলে, উভয় ক্ষেত্রেই ১০০ টাকা ফি প্রযোজ্য।
যাইহোক, পেমেন্ট করার পর আপনাকে একটি অনলাইন পেমেন্ট রিসিট দেওয়া হবে। সেখানে আপনার খতিয়ানটি সরবরাহের তারিখ উল্লেখ করা থাকবে। উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় আপনার খতিয়ানের কপিটি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ