অনলাইনে এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান ২০২৫
অনলাইনে এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান করে, খতিয়ানের দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ ও মালিকদের নাম জানতে পারবেন। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি এই পোস্টে দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে থেকেই এদেশে এস এ খতিয়ানের ব্যাপক প্রচলন ছিল। ভারত বিভাজনের পর দেশের জমি জমা সংক্রান্ত জটিলতা নিষ্পত্তির জন্য ১৯৫৬ সালে এই জমির রেকর্ড তৈরি করা হয়েছিল। যদিও বর্তমানে ‘আর এস’ এবং ‘বি আর এস’ খতিয়ানের প্রচলন বেশি। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এস এ খতিয়ানেরও প্রয়োজন দেখা দেয়।
বর্তমানে জমির ঠিকানা, খতিয়ানের ধরন, মৌজা নং ও খতিয়ান নাম্বার দিয়েই অনলাইনে এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। প্রয়োজনে অনলাইন কপির জন্যও আবেদন করা যাবে। বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি নিচে দেখে নিন।
এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান
এস এ খতিয়ান যাচাই করার জন্য dlrms.land.gov.bd অনুসন্ধান পেজে ভিজিট করুন। তারপর সার্ভে খতিয়ানের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সিলেক্ট করে খতিয়ানের ধরন ‘এস এ’ বাছাই করুন। এরপর মৌজা সিলেক্ট করলেই শেষের ঘরে খতিয়ানের তালিকা পাবেন। সেখান থেকে আপনার খতিয়ানে ২ বার ক্লিক করলেই জমির এস এ রেকর্ডের তথ্য চলে আসবে।
তথ্য পেজে থেকে খতিয়ানের অনলাইন কপি/ সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করার জন্য ‘ঝুড়িতে রাখুন’ লেখাটিতে ক্লিক করবেন। পরে ওপরের ঝুড়ি আইকনে ক্লিক করে খতিয়ানের অনলাইন/ সার্টিফাইড কপি সিলেক্ট করে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টিক দিয়ে চেক আউট করবেন।
নতুন পেজে গেলে, আপনার মোবাইল নাম্বার ও নাম দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে নিবেন। তারপর নাগরিক একাউন্টে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে বিকাশের মাধ্যমে ১০০ টাকা ফি জমা দিয়ে খতিয়ানের কপির জন্য আবেদন করা যাবে। সাধারণত SA Khatian Online Copy পেতে ৭-১০ দিন সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
মোবাইলে এস এ খতিয়ান যাচাই
এস এ খতিয়ানের রেকর্ড চেক করতে,
(বিঃদ্রঃ বাংলাদেশের সকল এলাকার জমির এস এ খতিয়ানের রেকর্ড অনলাইনে সাবমিট করা নেই। তাই ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট কিংবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে আপনার মৌজার এস এ খতিয়ান নাও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার এলাকার স্থানীয় ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে খতিয়ানের কপিটি সংগ্রহ করা যাবে।)
এভাবে যে কেউ চাইলে একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেই অনলাইনে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবে। এভাবে খতিয়ান অনুসন্ধান করার পর কার্টে যোগ করে, নাগরিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে পেমেন্ট করতে হবে। তাহলেই এস এ খতিয়ানের কপি ডাউনলোড বা সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ